তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা এখন মানুষের জীবনের লাইফ লাইনে পরিণত হয়েছে।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার সেন্ডসানের সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত বিনিয়োগের জন্য অন্যতম একটি থ্রাস্ট সেক্টর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে নরওয়ের অধিকতর বিনিয়োগ এবং আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে রাষ্ট্রদূত ভূমিকা রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত এসপেন বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে বিশেষ করে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলেও মানুষ ডিজিটাল টেলিকম সেবা পাচ্ছে। কোভিডকালে এখানকার মানুষের জীবন থেমে থাকেনি। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ক্লাস করছে, ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন ও ডিজিটাল বাণিজ্য প্রসার লাভ করছে।’
নরওয়ের টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর (জিপি) ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির সাথে অংশীদার হতে পারায় রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মোস্তাফা জব্বার দেশের টেলিকম অবকাঠামো উন্নয়নে অংশীদার হওয়ায় টেলিনরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ভয়েস কলের মাধ্যমে দেশে টেলকোর যাত্রা শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশে টু-জি থেকে থ্রি-জি, ফোর-জি চালু হয়েছে। আমরা ফাইভ-জি রূপান্তরের যাত্রা ইতোমধ্যে শুরু করেছি।’